ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে আটক যুবলীগের দুই নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে তাদের সমর্থকরা। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দুই ঘণ্টা সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে রাখে অবরোধকারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড় অবরোধ করা হয়।
এ দিকে, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী, সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় যুবলীগ নেতাদের মুক্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সূত্রে জানা যায়, পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলর রেজাউল করীম জাকির এবং যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সাগর নামে সৈয়দ মিলনের এক অনুসারীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জাকির বাসমালিক সমিতিতে গেলে সৈয়দ মিলন ও তার সমর্থকরা হামলা করার প্রস্তুতি নেয়।
এ সময় বাসমালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশকে উদ্দেশ করে উস্কানিমূলক কথা বলা হয়। যে কারণে পুলিশ রেজাউল করীম জাকির ও সৈয়দ মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এতে জাকির সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। টায়ারে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে মিছিল করতে থাকে জাকির সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির বলেন, আমি বাস মালিক সমিতিতে গেলে আমাকে ঘেরাও করা হয়। সেখান থেকে আমাকে থানায় নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী জানান, যুবলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনায় মহাসড়ক অবরোধ হয়। পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড