বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় কথিত প্রেমিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ আগস্ট) তাকে আদালাতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রুদ্রস্বর গ্রামের নাজির উদ্দিন ওরফে নজু শেখের ছেলে কথিত প্রেমিক অফিল উদ্দিন (২৫) ও ধুনট উপজেলার মহিশুরা গ্রামের আব্দুল জলিল মণ্ডলের ছেলে লুৎফর রহমান (৩০)।
১৬ আগস্ট ওই ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পরই বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে পাশবর্তী সোনামুখী গ্রামে ফুফুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়। পথিমধ্যে বাঁশপাতা গ্রামের মক্কা নামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ির সামনে পৌঁছলে তাকে অপরহরণ করে সিএনজিযোগে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর টানা ছয় দিন ওই স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
অপহরণের ছয় দিন পর গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের যমুনা নদীর চর দিঘাইল গ্রামের মন্ডলপাড়ার একটি টিনশেড ঘর থেকে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক অফিল উদ্দিনকে আটক করা হয়। মামলায় অফিল উদ্দিনকে প্রধান করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত অফিল উদ্দিন জানায়, মোবাইল ফোনে রং নম্বরের মাধ্যমে ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্রধরে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে ছয় দিন বিভিন্ন স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিল। স্বজনদের কাছে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে সে। ব্যক্তি জীবনে অফিল উদ্দিন বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুজ্জামান বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি অফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের ঘটনায় মহিশুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অফিল উদ্দিন বাদী অভিযোগ স্বীকার করেছে। মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ওই মেয়েটিকে উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করি। নির্বাচন কর্মকর্তা আবার ডেঙ্গু প্রতিরোধক টিমের সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে অফিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড