রাজশাহী প্রতিনিধি
সবুর হোসেন। রাজশাহীর বাসিন্দা। কাজ করেন ঢাকার একটি গার্মেন্টসে। ঈদের ছুটি শেষে রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর দুটোয় তার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবার কথা ছিল। হিসেবে কষে টিকিট কেটেছিলেন সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের সিল্কসিটি ট্রেনে।
রাবেয়া সারোয়ার তার এক বছরের বাচ্চা নিয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে বসে রয়েছেন সেই সকাল থেকে। তিনিও অপেক্ষা করছেন একই ট্রেনের জন্য। গরম আর অচেনাদের ভিড়ে কোলের বাচ্চা শুধুই কাঁদছে। মা তার বাচ্চাকে কোনোভাবেই শান্ত করতে পারছেন না। সেই সাত-সকালের ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছাড়লো ৬ঘন্টা দেরিতে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে।
ট্রেনগুলে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে স্টেশন (ছবি- দৈনিক অধিকার)
একইভাবে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন শনিবার রাত ১১টা ৪০মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও, তা আজ সকালে ছেড়ে গেছে। রবিবার বিকেল ৪টায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও, সময়মতো ট্রেনটি স্টেশনে আসার কোনো লক্ষণ দেখছেন না কর্তৃপক্ষ।
এই দুরাবস্থা রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী অভিমুখের প্রতিটি ট্রনের যাত্রীদের। ট্রেনগুলে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে স্টেশন। বিলম্বিত ট্রেনের কোনো তথ্য না পেয়ে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে স্টেশনেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই ৫ থেকে ৭ ঘন্টা অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
এদিকে ঈদের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত টেনগুলোর এমন সময় বিপর্যয়কে সহজভাবেই দেখছে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না তাদের।
ট্রেনগুলোতে যাত্রী বাড়লেও রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। ট্রেনের পাশাপাশি রেল লাইনেও ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ চাপ পড়ছে। পকশি রুটের ট্রেন লাইনে ২৪ ঘন্টায় ২২টির স্থানে এখন ৪৪টি ট্রেন চলাচল করছে।
রাজশাহী স্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মুখী প্রতিটি ট্রেন ৫ থেকে ৭ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ছে। এর জন্য তিনি দায়ি করছেন ট্রেনগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করাকে।
তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে ট্রেনের সিডিউল ঠিক হতে শুরু করবে। এ দিন থেকে পর্যায়ক্রমে ট্রেনগুলোর ছুটি বলবত হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড