ঢাকাগামী ট্রেনের সিডিউল ‘হযবরল’  

ঈদের ছুটি শেষে ফিরতি পথেও চলছে কর্মস্থল মুখী মানুষের একই ভোগান্তি। বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী সকল ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ট্রেন ৭ থেকে ১৪ঘন্টা দেরিতে নাটোর স্টেশন ছাড়ছে।

এদিকে নাটোর বড়হরিশপুর বাস টার্মিনাল থেকে সময়মত বাস ছেড়ে যাচ্ছে রাজধানীর দিকে। তবে টিকিট সঙ্কট থাকার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। অনেক আগেই টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে টিকিট সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

নাটোর রেল স্টেশন সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১২টায় ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি রবিবার ভোরে ঢাকা থেকে এসে রংপুরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে গেছে। দুপুর ১টা পর্য়ন্ত ট্রেনটি ঢাকার উদ্দ্যেশে রংপুর থেকেই ছাড়েনি। এখন পর্যন্ত ১৬ঘন্টা বিলম্ব করছে ট্রেনটি। এছাড়া ঢাকাগামী অপরট্রেন নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ঘন্টা ধরে বিলম্বে রয়েছে। আর দক্ষিনাঞ্চলগামী রুপসা এক্সেপ্রেস ট্রেনটি এখন পর্যন্ত ৩ঘন্টা বিলম্বে রয়েছে।

ট্রেনে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি (ছবি- দৈনিক অধিকার)

অপরদিকে সান্তাহার থেকে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৯টায় নাটোর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টায় ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী মুখী সকল ট্রেনের সিডিউল বিপর্য়ের কারণে চরম ভোগন্তির মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের দেখা মিলছেনা।

নাটোর জন্য নাটোর স্টেশনে অপেক্ষা করছেন খোরশেদ আলম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, গতকাল ঢাকায় যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসে কোন টিকিট পাইনি। তাছাড়া এত ভিড় যে ট্রেনে উঠাই কঠিন হয়ে পড়েছে। আজও স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি কখন যে ট্রেনের দেখা পাবো।

একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীতে চাকুরি করেন মানিক উদ্দিন। শনিবার রাত ১২টার রংপুর এক্সপ্রেসে টিকিট কিনেন তিনি। কিন্তু ট্রেনটির কোনো সিডিউল ঠিক না থাকায় বাধ্য হয়ে টিকিট বাতিল করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে নাটোর রেল স্টেশন মাষ্টার অশোক কুমার চক্রবর্তী দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঈদের কারণে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ পড়েছে। প্রতিটি ট্রেন যাত্রী উঠা-নামা করতে গিয়ে তিন মিনিটের স্থলে ২০ থেকে ২৫মিনিট বিলম্ব করছে। যার কারণে ট্রেনের সিডিউল মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। ঈদের আগে মহাসড়কে ভোগান্তির কারণে ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের চাপটা আরও বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখতে হলে ঢাকা থেকে সঠিক সময়ে ছাড়তে হবে। আর এই অঞ্চলে যেহেতেু ডাবল লাইন নেই, তার কারণে আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

ওডি/এসএ