নওগাঁ প্রতিনিধি
ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষায় ভুল ফলাফল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর ‘ল্যাব এইড লিমিটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ বিরুদ্ধে। ডেঙ্গু পরীক্ষায় একই ব্যক্তির পজিটিভ ফলাফল দিলেও অন্য প্রতিষ্ঠানে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বলিহার ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু নাসেরের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদের (৩০) জ্বর হলে ১০ আগস্ট নওগাঁ ল্যাব এইড হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে ডা. সমশের আলী স্বাক্ষরিত ফলাফলে ডেঙ্গু এনএস-১ পজিটিভ দেখানো হয়। পরবর্তীতে অন্য ল্যাবের ফলাফল দেখানো হলে চ্যালেঞ্জ করে পুনরায় ১২ তারিখে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু এনএস-১ পজিটিভ দেখানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালী আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ঈদের পরদিন মঙ্গলবার এসে পরীক্ষা করে দেখেন ডেঙ্গু নেই।
অপর দিকে, নওগাঁ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মাসুদ রানার হাসিনুর হাসান জীমের (২৩) শরীরে জ্বর অনুভূত হয়। গত ১৫ আগস্ট নওগাঁ ল্যাব এইডে রক্ত পরীক্ষা করলে একই ডাক্তারের স্বাক্ষরিত ফলাফলে ডেঙ্গু এনএস-১ পজিটিভ দেখানো হয়েছে। এ ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার জন্য শহরের কমপ্যাথ ল্যাবরেটরিতে একই পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল প্রদর্শিত হয়। দুটি ল্যাবে পৃথক ফলাফল পরিলক্ষিত হলে বিতর্ক দূর করতে ওই দিনই বগুড়া ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টারে ডা. ডি এম আরিফুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত ডেঙ্গু এনএস-১ রিপোর্টে নেগেটিভ ফলাফল প্রদর্শিত হয়েছে।
জীমের বাবা এম মাসুদ রানা জানান, ল্যাব এইডের মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের এরকম ভুল কোনোভাবেই কাম্য নয়। ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ একটি রোগ নিয়ে ভুল ফলাফল দেওয়া এটা বড় রকমের একটি অপরাধ। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ ল্যাব এইডের প্রশাসনিক কর্মকতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রক্রিয়াগত কোনো ত্রুটি নেই। তবে ডেঙ্গু পরীক্ষার কীটসের (ডিভাইস) ত্রুটির কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারণ বিদেশ থেকে ডিভাইস আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো বিধি নিষেধ আরোপিত হয়নি।
এ ব্যাপারে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মুমিনুল হক বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ডেঙ্গুর মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে ভুল রিপোর্ট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। ল্যাব এইডের ডায়াগনস্টিক সিস্টেমও ভালো নয়। আজ বন্ধের দিন। রোববার ল্যাব এইডে গিয়ে পরিদর্শন পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ডিভাইসটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে।
ওডি/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড