• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শাল্লায় আ. লীগ প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় বাড়িতে হামলা, লুটপাট

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ আগস্ট ২০১৯, ২০:৪১
হামলা, লুট
ঘরের ভাঙা বাসন কোসন ও আসবাবপত্র (ছবি : সংগৃহীত)

সুনামগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলার শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামের মাস্টার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় তার কর্মী সমর্থকরা প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়।

লুটপাটে বারান্দার রেলিংও রেহাই পায়নি (ছবি : সংগৃহীত)

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল আমীন চৌধুরীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেননি ফয়জুল্লাপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল আলী ও তার স্বজনরা। ওই নির্বাচন নিয়ে চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থক একই গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ও শরিফ উদ্দিন গংরা প্রতিশোধ নিতে শতাধিক লোকজন নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র (রামদা, বল্লম, লোহার রড) নিয়ে আব্দুল আলী, সহোদর শরিফুল ইসলামসহ তাদের স্বজন ৬টি পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় হামলাকারীরা ওই ৬টি বাড়ির আলমারি ভেঙে ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ১২লাখ টাকা এবং অর্ধশতাধিক গরু নিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষক আব্দুল আলীর স্ত্রী তজ্জতুন নেছা গুরুতর আহত হন।

বসতঘরে হামলার চিহ্ন (ছবি : সংগৃহীত)

এ দিকে এ ঘটনায় করা মামলায় গত ১৫ আগস্ট ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফয়জুল্লাপুর গ্রামের গাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. কাউসার মিয়া, আবুল মোতালিবের ছেলে দুদু মিয়া, তার সহোদর সুজন মিয়া, খোকন মিয়া, সাজু মিয়ার ছেলে মোরশিদ কামাল, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও আজির হামজার ছেলে মো. ফুল মিয়া।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের তজ্জতুন নেছা বলেন, ‘আমরা পূর্বে থেকেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে আসছি। কিন্তু গত ১০ মার্চের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল আমীন চৌধুরীকে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরনার স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট অবণী মোহন দাসকে ভোট দিয়েছিলাম। এই ভোট দেওয়ার অপরাধে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলার আগে বিভিন্নভাবে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল। আমরা এখনো তাদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।’

ভাঙা আসবাবপত্র (ছবি : সংগৃহীত)

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট ঈদের পরের দিন জয়জুল্লাপুর গ্রামের আমীর হামজার ছেলে মো. জয়নাল মিয়া পুরান বাজার থেকে পায়ে হেঁটে নতুন বাজারে যাচ্ছিল। পথে মামলার বাদী পক্ষের বড় ভাই শিক্ষক আব্দুল আলীর ছেলে মো. আরাফাত মিয়া জয়নালের ওপর হামলা চালায়। সে সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ ঘটনা দেখে আমার ছোটভাই ইমরান হোসেন এগিয়ে এসে বাধা দিলে আরাফাত আমার ভাইয়ের ওপরও হামলা চালায়।’

নারকীয় লুটতরাজের সাক্ষী এ ঘর (ছবি : সংগৃহীত)

শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘মামলার বাদী-বিবাদীরা আপন ভায়রা, শ্যালক। তাদের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের পিআইসির টাকা পয়সা নিয়ে মূলত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে হামলা ও মামলা চলে আসছিল। তবে বিষয়টি পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটে।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড