রাজশাহী প্রতিনিধি
ক্রেতা না পেয়ে কুরবানি পশুর চামড়া ফেলে দিতে শুরু করেছে রাজশাহীর স্থানীয় মাদ্রাসাগুলো। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুসারে কুরবানি দেওয়া পশুর চামড়া বা বিক্রির অর্থের ওপর এতিম ও দরিদ্রদের হক। মাদ্রাসাদগুলো চামড়া বিক্রির অর্থ তাদের এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভরন-পোষণের ব্যবস্থা করে থাকে।
ঈদের দিন কুরবানির পর থেকে মাদ্রাসাগুলো চামড়া সংগ্রহ করতে শুরু করে। এছাড়া স্থানীয়দের অনেকেই সোয়াবের আশায় ও মাদ্রসা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কুরবানি দেয়া পশুর চামড়া মাদ্রাসাগুলোতে দান করেন। তবে ঈদের দিন শ্রমিক না পেয়ে চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া ক্রেতাও আসেনি তাদের কাছে। এখন সেই চামড়াগুলোতে পচন ধরেছে। তাই সেই চামড়াগুলো ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, মাদ্রাসাগুলোতে এতিম ও দরিদ্র ঘরের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। যাদের ভরন-পোষণ ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটা বড় অংশই আসে কুরবানি দেওয়া পশুর চামড়ার বিক্রির অর্থ থেকে।
রাজশাহীর মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে দরগাপাড়ার জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা অন্যতম। এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহাদত আলী জানান, এবার তারা প্রায় সাড়ে ৬শ গরু ও খাসির চামড়া সংগ্রহ করেন। তবে ৫৯৭টি চামড়া মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফেলে দিতে হয়েছে। চামড়াগুলোতে পচন ধরায় সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নির্দিষ্ট ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, চামড়াগুলো সংরক্ষণ করতে ২০ বস্তা লবণ কেনা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে চামড়ায় লবণ লাগাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ফলে এই চামড়াগুলো পচে যায়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ১৫০জন দরিদ্র ও এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে। কুরবানির সময় প্রতি বছর গড়ে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হতো এ মাদ্রাসার।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড