ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘরে ঢুকে আলিম ২য় বর্ষের মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় হাতে নাতে আটকের পর শালিস বৈঠক থেকে ধর্ষককে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষক মনসুর আলী (২৫) সহ আরও ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন মাদরাসা ছাত্রীর বাবা।
ধর্ষক মনসুর আলী (২৫) ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-একই গ্রামের আঃ গণির ছেলে দুলাল হোসেন (৩০), জুয়েল রানা (২১), আজগর আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০), শামীম হোসেন (২৮), খলিলুর রহমানের ছেলে শাহিনুর (২৫), দবিরুল ইসলামের ছেলে শাহজালাল (২৫), সাইদুর রহমানের ছেলে উজ্জল (১৮), হাসান আলীর ছেলে রব্বানী (৩০), মখলেসুর রহমানের ছেলে রেজাউল হক (২৫), মৃত মহিম উদ্দীনে ছেলে আঃ গণি (৪০) এবং রাণশীংকৈল থানার নেকমরদ গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল হক (৩০)।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মাদরাসা ছাত্রী ও কলেজ ছাত্র মনসুর আলীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলছিল। ঈদের কলেজ ছুটিতে বাসায় এসে সোমবার (১২ আগস্ট) রাত ২টার সময় মাদরাসা ছাত্রীর সাথে দেখা করতে তার ঘরে গোপনে প্রবেশ করে মনসুর। গভীর রাতে মাদরাসা ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার টের পেয়ে মাদরাসা ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে হাতে নাতে আটক করে।
মাদরাসা ছাত্রীর চাচা জানান, ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করার জন্য মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ীতে বৈঠকে বসে দুই পরিবারের লোকজন। হঠাৎ মামলার আসামীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ধর্ষক মনসুর আলীকে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী মাদরাসা ছাত্রীর বাবা জানান, মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে আসামীর লোকজন। মামলা তুলে না নিলে তারা ধর্ষক মনসুর আলীকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়ের করবে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড