শাহ্ মুহাম্মদ রুবেল, কক্সবাজার
কুরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কক্সবাজারের কামার সম্প্রদায়ের লোকেরা। কাজের ব্যস্ততায় ঘুম নেই শ্রমিকদের। দোকানের কাছে গেলেই শোনা যায় টুং টাং শব্দ। কুরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবহৃত দা-ছুরি বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কামরপল্লী, উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজার, উখিয়া বাজার, টেকনাফ বাজার, রামুর ফকিরা বাজার, সদরের খরুলিয়া, বাংলাবাজার, ঈদগাঁও বাজারের কামারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন।
ক্রেতারা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের উপকরণ গুলোর দাম অনেক বেশি। অন্যদিকে কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা জানান, লোহার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় দা-ছুরি, চাপাতিসহ সব সঞ্জামের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দা-ছুরিতে শান দিচ্ছেন এক শ্রমিক (ছবি- দৈনিক অধিকার)
বিক্রেতারা জানান, আগে লোহা রডের দাম ছিল প্রতি কেজি ১২ টাকা এবং স্প্রিং জাতীয় লোহার পাতির দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি। এখন লোহার রডের দাম কেজি প্রতি ৭২ টাকা ও পাতির দাম ১৬০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি দিন হাজিরা প্রতিদিন ছিল ১৫০ টাকা আর এখন দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। আগে গড়ে লাভ হতো এক শত টাকা আর এখন গড়ে লাভ হচ্ছে ৫০ টাকা। বর্তমানে মাঝারি আকারের ছুরি প্রতি পিস ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, বড় আকারের ছুরি ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি দা ১২০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাপাতি কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতি পিস চাপাতির দাম পড়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
দোকানে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা কুরবানির পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম (ছবি- দৈনিক অধিকার)
বড় বাজার কামারপাড়ার সুনীল কামার জানান, কোরবানির ঈদের সময় ভালো বিক্রি হয়। তা দিয়েই চলে সারা মাস। তবে আগের মতো আর এ পেশায় রোজগার নেই। চলতে হয় অনেক কষ্ট করে। বর্তমান যুগে অনেক ভালো সরাঞ্জামা তৈরি করা যেত। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে শত বছরের এই পুরাতন শিল্প ধ্বংসের পথে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড