বগুড়া প্রতিনিধি
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভিজিএফের চাল নিয়ে ফেরার পথে যমুনা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে মমতা খাতুন (৬) নামে এক শিশু কন্যা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত শিশুটি বগুড়ার সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
শিশু কন্যা মমতা খাতুন সারা রাত নদীতে ভেসে ভেসে বগুড়ায় আসায় অনেকে আশ্চর্য হয়েছেন। নৌকা ডুবির পর কীভাবে সে এতদূর চলে এসেছে তা মমতা বলতে পারে না। সে শুধু থৈ থৈ পানি দেখেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বলছে শিশুটি আসলে যমুনা কন্যা।
মমতা খাতুনের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর হলকা গ্রামে। তার বাবার নাম ময়েন উদ্দিন।
জানা যায়, বুধবার (৭ আগস্ট) দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন থেকে বেশ কয়েকজন ত্রাণের চাল নিয়ে হলকা হাওড়াবাড়ী এলাকায় যাচ্ছিল নৌকা নিয়ে। যাওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে নদী পথে টিনের চরের কাছে পৌঁছালে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়। ওই নৌকায় ছিল শিশু মমতা খাতুন। মমতা উত্তাল যমুনা নদীর পানিতে ভাসতে ভাসতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারি চরে আটকে পড়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ভোর ৬টায় এলাকাবাসী শিশু মমতা খাতুনকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। ঘুঘুমারি চরের বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, প্রায় ৫০ কিলোমিটার নদী পথে শিশুটি রাতের আঁধারে সারিয়াকান্দির ঘুঘুমারি চরে পৌঁছায়। কীভাবে সে ভেসে ভেসে এত দূরে এলো সেটি জানা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, মমতা খাতুনের বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে শিশুটিকে নিয়ে যাবেন।
বগুড়ার সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার রায় ও সিনিয়র স্টাফ নার্স উম্মে হানি জানান, নদী পথে ভেসে আসা শিশুটি আগের থেকে বেশ ভালো আছে। সে তার পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছে। তার এক চাচা এসেছেন। শিশুটি কথাও বলতে পারছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড