• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রামেকসহ রাজশাহীর ১৪টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত

  রাজশাহী প্রতিনিধি

০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২৫
এডিস মশা
এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করণের কাজ করছেন রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রাজশাহী নগরীর ১৪টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। স্থানগুলোর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল অন্যতম। অথচ রাজশাহীর সব ডেঙ্গু রোগী এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার (৭ আগস্ট) রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুই ধরনের লার্ভার মধ্যে এডিস মশা ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। যার উপস্থিতি নগরীর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে রয়েছে। এই লার্ভা এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনে জীবাণু বিস্তারের সক্ষম। আর মানুষকে কামড়ানোর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্য ওই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রজনন স্থান নির্ণয়ে গত ১ আগস্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি জরিপ দল গঠন করা হয়। দলটি গত ২-৬ আগস্ট পাঁচদিন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের সন্দেহজনক ১শটি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা সংগ্রহের পর বুধবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের নিজস্ব ল্যাবে টেস্ট করে রাজশাহীতে এডিসের লার্ভার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয় দলটি।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক লার্ভা শনাক্ত হওয়া ১৪টি স্থানের নাম উল্লেখ করে জানান, রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডসহ ফাল্গুনি ছাত্রীনিবাস ও রামেক অধ্যক্ষের পরিত্যক্ত বাসভবন, ভদ্রা এলাকার ভাংড়িপট্টি সংলগ্ন ফুটপাতের ওপর রাসিকের তৈরি করা নিরাপত্তা পাইপে জমে থাকা পানিতে এবং পুলিশ লাইন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় লার্ভাগুলো পাওয়া গেছে।

এছাড়া শুভ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন রাজশাহী নার্সারি, সিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকার বিভিন্ন ভলকানাইজিং ও পুরাতন ব্যাটারি সেলের দোকান। উপশহর এলাকার বহুতল রংধনু টাওয়ার ১৬৪/৪ ও ২০১ নম্বর বাড়ির ও সিপাইপাড়া এলাকার কয়েটি বাড়ির ফুলের টবে, প্লাস্টিকের জার, নারকেলের মালাইয় ও আইনক্রিমের পরিত্যক্ত পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এদিকে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে জরিপ দলের দেওয়া প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই বাড়ির আশপাশে বা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না। উন্মুক্ত জলাবদ্ধ স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা কেরোসিন বা গরম পানি ছিটিয়ে দিতি হবে। ফগার মেশিন বা ইনসেক্টিসাইড বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে এডিসের লার্ভাগুলো দ্রুত ধ্বংস করতে হবে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মশারির মধ্যে রাখতে হবে। যাতে মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে কামড় দিয়ে নতুন কাউকে আক্রান্ত করতে না পারে।

ওডি/এএসএল/এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড