• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নদীর স্রোতে ভেসে যায় সাঁকো তবু হয় না সেতু

  আব্দুর রশিদ শাহ্, নীলফামারী

২৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৭
বাঁশের সাঁকো
বাঁশের সাঁকোতে নদী পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা (ছবি- দৈনিক অধিকার)

নীলফামারীর জেলা সদরের পপুকুর ইউনিয়নে যমুনেশ্বরী নদীতে চিনিরকুঠি ও উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটে সেতু নেই প্রায় শত বছর। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে নদী পার হতে হয় আট গ্রামের হাজারো মানুষের। গ্রামবাসীর নিজেদের তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পারারপার হন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে নদীর উত্তাল ঢেউয়ের শিকার হয়ে অনেকেই সাঁকো থেকে পড়ে আহত হন।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিনিরকুটি বাজারের পাশে এবং বারোমাসি ঘাটে যমুনেশ্বরী নদীতে কোনো সেতু নেই। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে নিজেরাই বাঁশ ও অর্থ সংগ্রহ করে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগে দুটি সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হন। বিগত দিনের মতো এবারও তারা সাঁকো নির্মাণ করেছিল। কিন্তু আষাঢ় মাসের শুরুতেই হঠাৎ বর্ষণে ফুঁসে উঠে যমুনেশ্বরী। নদীর পানির তোড়ে তাদের তৈরি বাঁশের সাকো দুটি ভেসে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ছয় গ্রামের মানুষের পারাপার। বাধ্য হয়ে তারা তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ ঘুরে জেলা সদরে যাতায়াত করছে।

ইটাখোলা ইউনিয়নের চিনিরকুঠি বাজারস্থ সোহরাব হোসেন, সুজন রায়সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ছোট বেলা থেকে শুরু করে এখনো সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছি। এবারে আকস্মিক নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে সাঁকো। আগে বাবারা সাঁকো বানাতো, আমরা পার হতাম। আর এখন আমরা সাঁকো বানাই, আমাদের ছেলে-মেয়েসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ পার হয়। এখানে সেতুর দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য এমনকি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সবাই ওয়াদা দেয় ঠিকই, কিন্তু সেতু আর হয়না।

পপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিবর রহমান সরকার বলেন, ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি যমুনেশ্বরী নদীতে চিনিরকুঠি ও উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটে দুটি সেতুর। আমি জনদুর্ভোগের কথা ভেবে সদর উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় দাবি তুলেছি। কোনো কাজের নমুনা এখন পর্যন্ত পাইনি। যতটুকু পেরেছি নিজস্ব উদ্যোগ ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় দুটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আকস্মিক বর্ষণে সাঁকো দুটি ভেসে গেছে। এতে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, যমুনেশ্বরী নদীর চিনিরকুঠি এলাকার সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। নকশা অনুমোদনের অপেক্ষমাণ। উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটের সেতুর বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড