মাহবুব হোসেন, নাটোর
নাটোর শহরে সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করা হয়েছে। অন্তত ৮ থেকে ১০টি খুঁটি রয়েছে এ সড়কে। সড়ক ও জনপদ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কানাইখালি এলাকা থেকে আলাইপুর পর্যন্ত অন্তত ৮ থেকে ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। শহরের রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে এসব খুঁটি রাস্তার মধ্যে পড়েছে। এসব খুঁটির ওপর ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং অফিসে সংযোগ রয়েছে। খুঁটি না সরিয়েই শহরের ভেতরের রাস্তায় কার্পেটিং শুরু হয়েছে।
নাইম হোসেন নামে এক আটো চালক বলেন, দিনে না হলেও অন্তত রাতে যানবাহনগুলো সমস্যা পড়বে। রাস্তার মধ্যে খুটি থাকার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, শহরের হরিশপুর বাইপাস থেকে বেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণের শুরু থেকেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই রাস্তার ড্রেন নির্মাণ থেকে সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া নাটোর পৌরসভা, নেসকোসহ সরকারি অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না করেই রাস্তার প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ফল ভোগ করছে এখন নাটোরবাসী। সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় থাকল এ ধরনের কাজগুলো হতো না।
নাটোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ পাটেয়ারী বলেন, নেসকোকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা খুঁটি সরিয়ে নেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে কার্পেটিং করা হচ্ছে। কারণ এ কাজ অনেক দিন ধরে পড়ে থাকার কারণে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি হচ্ছে।
কানাইখালি থেকে আলাইপুর পর্যন্ত সড়কে অন্তত ৮ থেকে ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে (ছবি- দৈনিক অধিকার)
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) আবাসিক প্রকৌশলী সুব্রত কুমার বলেন, সড়ক ও জনপথ রাস্তার পাশে জায়গা দেখিয়ে না দেওয়ার কারণে খুঁটি সরানো সম্ভব হয়নি। কারণ ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইন তো আর মানুষের বাড়ির ওপর দিয়ে টানা যায় না। এর আগে আমাদের যতগুলো সরাতে বলেছে আমরা সবগুলো সরিয়ে ফেলেছি।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য ৭৫ লাখ টাকা দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা রয়েছে সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য। এর আগে আমরা যখন খুঁটি সরানোর কথা বলেছি, তারা বলেছে বর্ধিত হলে তখন তারা জায়গা দেখিয়ে দিবে। সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড