সারাদেশ ডেস্ক
ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অথচ জানা যায় মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে যান রেনু। সেখানে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে লোকজন জড়ো হয়ে ছেলেধরা বলে গণপিটুনি তাকে হত্যা করা হয়। গণপিটুনিতে নিহত রেনুর বাবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে। নিহতের ছোট্ট তাসলিমা তুবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে।
এদিকে, রবিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেনুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। রেনুর জানাজায় নিহতের আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে প্রায় দুই বছর আগে স্বামী তসলিম হোসেনের সঙ্গে রেনুর ডিভোর্স হয়। তাদের সংসারে তাসফিক আল মাহি (১১) ও তাসলিমা তুবা নামের দুই সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর ছেলে বাবার সঙ্গে থাকে। আর মেয়ে মায়ের সঙ্গে ছিল। রেনু মহাখালীতে বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
নিহত রেনুর আত্মীয় নুর জাহান বেগম মুন্নি বলেন, তুবা শুধু বলে, আমার মা নেই, আমার মা কই? এটি তার অবুঝ মনের বলা। সে কান্নাকাটি করছে। তুবা এখন আমাদের কাছেই থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাসলিমা বেগম রেনুর এক ভাই ও পাঁচ বোন। মাস্টার্স শেষ করা রেনু সবার ছোট। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছিলেন।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড