জামালপুর প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জেলায় ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়া বকশীগঞ্জের পৃথকস্থানে বন্যার পানিতে ডুবে তিন জন মারা যাওয়া খবর পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় ৬২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক ও রেল পথ, তলিয়ে গেছে ১৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২১ সেন্টিমিটার কমে শনিবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করা জেলার ৬২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের মাছ, মুরগীর খামার, গরুর খাবার, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও দুরমুট, মেলান্দহ ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, তারাকান্দি, রেল স্টেশনে লাইনে পানি উঠায়, ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার ১০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। জামালপুরে বন্যা কবলিত ২ লাখ ৩শ পরিবারের ১২ লাখ ৭০ হাজারের অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ দিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো খাবারের তীব্র সঙ্কটের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। বন্যা কবলিত এলাকায় ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৮ হাজার বানভাসী মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট বরাদ্দকৃত ত্রাণের পরিমান ৮৫০ মেট্রিক টন চাল ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ অর্থ বরাদ্দ করেছে। জেলায় ১৪টি মেডিকেল টিম প্রেরণ করা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে মেডিকেল টিমের কোনো দেখা মেলেনি। নেই কোনো বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ, মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়াও সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে এসে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড