নেত্রকোণা প্রতিনিধি
শিশু সজীব মিয়ার (৭) মাথা কাটার বিষয়টি একটি নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ছেলেধরা বা পদ্মা সেতু গুজবের সঙ্গে ঘটনাটির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন নেত্রকোণার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী। এই ঘটনায় অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোণায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, অপরিচিত হলেই সন্দেহ করে কাউকে মারা যাবে না। এ ধরণের ভুল সিদ্ধান্তে নিজেও অপরাধী হয়ে যেতে পারেন। তাই এলাকা, পাড়া-মহল্লায় অপরিচিত ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আগে তার সাথে কথা বলুন। নয়তো শুধু সন্দেহের জেরেই চলে যেতে পারে নিরীহ মানুষের জীবন। ‘ছেলেধরা’ সৃষ্ট ভীতি মন থেকে ঝেরে ফেলার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, রবিন ছিল শিশু সজীবের প্রতিবেশি এবং এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত যুবক। গণপিটুনি দিয়ে রবিনকে না মারলে প্রকৃত ঘটনা সহজেই জানা যেত। অপরাধ যে কেউ করতে পারে এবং তার জন্য আইন-আদালত রয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) শহরের পূর্ব কাটলি এলাকার রঈছ উদ্দিনের শিশু ছেলে সজিবের দেহ বিচ্ছিন্ন মাথা প্রতিবেশি মাদকাসক্ত যুবক রবিনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে একই এলাকার বাসিন্দা এখলাছ মিয়ার ছেলে রবিনকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। ঘটনা জানা জানির পর পুলিশ কাটলি এলাকার কায়কোবাদ নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে শিশু সজীবের মস্তক বিচ্ছিন্ন দেহটি উদ্ধার করে। পরে শিশু ও যুবকের মরদেহ দুটি নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নেত্রকোণা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড