• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভিক্ষুকের ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

  ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

১৯ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫৬
পুলিশের এএসআই মাজহারুল
অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই মাজহারুল হক ও ভুক্তভোগী পরিবার ( ছবি : সম্পাদিত )

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ভিক্ষুকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের এএসআই মাজহারুল হকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠে, গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে মাদকের অভিযোগে শহরের পঞ্চবটি এলাকা থেকে জুয়েল নামে এক রিকশা চালককে আটক করে পুলিশ। আটককৃত জুয়েল অন্ধ ভিক্ষুক জোসনা বেগমের সর্ম্পকে নাতি হয়। পরে জুয়েলকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ভিক্ষুকের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

জানা যায়, পুলিশের এএসআই মাজহারুল হক রিকশা চালক জুয়েলকে ধরার পরে থানা হাজতে না রেখে গোপনে রান্না ঘরের একটি কক্ষে আটককে রাখে। পরে তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা এলে জুয়েলকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এএসআই মাজহারুল হক। তার কথা মতো টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দিয়ে দেবে বলে স্বজনদের জানান তিনি।

জুয়েলের মা জরিনা বেগম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তারা থানার পেছনে এএসআই মাজহারুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যের হাতে পায়ে ধরে জুয়েলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, এতে তার মন গলেনি। অবশেষে জুয়েলকে ছাড়িয়ে নিতে রাত ৯টার দিকে অন্ধ ভিক্ষুক জুয়েলের নানী জোসনা বেগম তার ভিক্ষাবৃত্তির জমানো ৫ হাজার টাকা ও ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে মোট ১১ হাজার টাকা হাতে তুলে দিলে এবং দুই হাজার টাকা পরের দিন দেওয়ার কথা বলে জুয়েলকে ছাড়িয়ে নেয়। পরদিন জুয়েলের মা জরিনা বেগম তাদের কথা মতো আরও ২ হাজার টাকা দিয়ে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এএসআই মাজহারুল হকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক আটক বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। শহরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধীদের আটকের পর টাকার বিনিময়ে ৩৪ ধারায় চালান দেয়া হয়েছে। ফলে অপরাধীরা সহজে বের হয়ে ফের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

এছাড়াও মাজহারুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি গাড়ি আটকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যোগদানের পর থেকে তার এমন অপকর্মে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই মাজহারুল হক বলেন, জুয়েলকে সন্দেহজনক কারণে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া জুয়েলের মা তাকে খুশি হয়ে দুই হাজার টাকা দেন বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার দুদিন পর বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় মাজহারুলকে হুশিঁয়ার করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান দিপু মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওডি/এসএএফ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড