জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম
গত ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে জেলেদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে তারা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদী ও সাগর থেকে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের ইলিশ অধ্যুষিত আনোয়ারার উপকূল বঙ্গোপসাগর ও শঙ্খ নদীতে অবাধে মাছ ধরছেন জেলেরা। জেল-জরিমানার তোয়াক্কা না করেই তারা সব প্রকারের মাছ শিকার করছেন। আর ব্যবসায়ীরা এসব মাছ অবাধে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। এসব মাছের মধ্যে আছে- ইলিশ, পোয়া, চিংড়ি, লইট্যা, পাঙাশসহ বিভিন্ন মাছের রেণু পোনা।
আনোয়ারা উপজেলার গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট, বার আউলিয়া, দোভাষীর বাজার ঘাট, ছিপাতলী ঘাট, গলাকাটার ঘাট, বাতিঘর এলাকা, ধলঘাট, ফকিরহাট এলাকা থেকে সাপমার খালের মুখ পর্যন্ত এলাকায় দেখা যায়, জেলেরা দিন-রাত জাল-নৌকা নিয়ে নদী ও সাগরে মাছ ধরতে নামছেন। এ সময় অবৈধ জাল বেশি পাতছেন।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শঙ্খ নদী ও বঙ্গোপসাগরে জেলেরা কারেন্ট, বেহুন্দি, মশারি, চরঘোরা, ঘুণ্ডি, পাই, পিটানো জাল, খুঁটিজাল পাতছেন। এসব জালে ছোট-বড় ইলিশ, ১-২ সেন্টিমিটার জাটকা ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু পোনাসহ জলজ প্রাণি ধরা পড়ছে। মাছঘাটের আড়ত ও বরফ কলও চালু। মাছঘাট, আড়তদার, এমন কি আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী বাজার, বটতলী রুস্তমহাট, দোভাষীর হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে গভীর রাত পর্যন্ত।
অন্যদিকে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, তার খবরই জানে না তারা। জেলেদের দাবি, মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে তেমন একটা প্রচার-প্রচারণাও নেই। মৎস্য সপ্তাহের সময়কাল সম্পর্কেও তাদের কোনো ধারণা নেই। তাই তারা প্রতিদিনের মতো নদী ও সাগরে মাছ ধরতে বের হয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হুমায়ন মোরশেদ বলেন, আমি অনেক বার মোবাইল কোর্ট বসিয়েছি। দীর্ঘ সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় জেলেদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। তাই তারা ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
ওডি/এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড