পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের সর্বউত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকলেও চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য ও ইমিগ্রেশনের দাবি জানান বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে চীনের দূরত্ব মাত্র ১৯০ কিলোমিটার। আর তাই এ রুটে বাংলাদেশ-চীন ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করার দাবি জানান বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এ দিকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বন্দরটির যাত্রা শুরু হলেও সময়ের দাবি মেনে চালু করা হয় বাংলাদেশ-ভারত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা। বন্দর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের শিলিগুঁড়ি। আর দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার, সিকিমের দুরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। তাই সহজে যাতায়াতের সুবিধা পেতে এ রুটে বেড়েছে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা। ব্যবসা-বাণিজ্য, ভ্রমণ ও চিকিৎসা কাজে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, এখানে ওয়ান স্টপ যাত্রী সার্ভিস চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, দেশের অন্যতম বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ভারত-নেপাল-ভুটান অত্যন্ত কাছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গেও এই পথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের গেল জুনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ হাজারের বেশি যাত্রী ভারতে গেছেন। এর মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-ভারতের মতো এই রুটে চীনের সঙ্গেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড