• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাঙ্গামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগে বন্যার্তরা

  রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

১৭ জুলাই ২০১৯, ১২:১১
বন্যা
দুর্ভোগে রয়েছে বন্যার্তরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রাঙ্গামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও চরম দুর্ভোগে রয়েছে বন্যার্ত লোকজনেরা। দুর্গতদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ত্রাণ তৎপরতা চলছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বরকলে বন্যার্তদের ত্রাণ দিয়েছে বিজিবির ছোটহরিণা জোন। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলার বরকলের ছোটহরিণা ১২ বিজিবি জোন জানিয়েছে, ১০ থেকে ১৬ জুলাই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কর্ণফুলী নদীর উজানে বরকলের বড়হরিণা ও ভুষণছড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘরবাড়ি আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সেখানকার বহু মানুষ পানিবন্দি ও গৃহহারা হয়ে পড়ে। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে বিজিবির সদস্যরা। মঙ্গলবার ছোহরিণা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিজয় দেবাশীষ নারায়ণ পাল সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সরেজমিন দেখেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ৩শ পরিবারের ১৫০০ অসহায় মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, চিনি, বিস্কুট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেন।

জানা যায়, অতি বর্ষণে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। বৃদ্ধি পেয়েছে কাপ্তাই হ্রদের উচ্চতা। এতে সদরসহ জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে, ওইসব এলাকার হাজার হাজার পরিবারের বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, রাস্তাঘাট ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। ফলে পানিবন্দি ও গৃহহারা হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসংখ্য পরিবার। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও চরম দুর্ভোগে রয়েছে বন্যার্ত লোকজন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল জানান, ৬ জুলাই হতে অতি বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। জেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪৫২ জন। অতি বৃষ্টিপাতে জেলার কাপ্তাই, নানিয়ারচর, কাউখালী, বাঘাইছড়ি, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, রাজস্থলীসহ কয়েক উপজেলায় আমন বীজতলা, মৌসুমী শাক-সবজি, ফল-ফলাদি ও জুম ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাচ্ছেন দুর্গত লোকজন। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নগদ সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা, ১৬৫ টন চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু জানান, তার উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় হাজারের অধিক পরিবারের বাড়িঘরসহ বিস্তর ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় অনেকে বাড়িঘরে ফিরছেন। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া পারভীন জানান, তার উপজেলার তিন ইউনিয়নে প্রায় ৫শ পরিবারের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া হাটবাজার, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড