• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার

  এইচ এম কাওসার মাদবার, বরগুনা প্রতিনিধি

১৭ জুলাই ২০১৯, ০৮:৪৯
বাশের সাঁকো
বাশের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

বরগুনা আমতলী উপজেলার ২ নম্বর কুকুয়া ইউনিয়নের ২০ নম্বর পূর্ব কেওয়া বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। অসাবধানতাবশত এ দিক থেকে ও দিক পা পিছলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কারও সাঁতার জানা না থাকলে মৃত্যুও হতে পারে। ব্রিজ কিংবা বিকল্প রাস্তা না থাকায় নদী-খাল পার হওয়ার একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন এই সাঁকো পার হতে গিয়ে স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীরা ডাঙায় পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ও আঠারো গাছিয়া দুই ইউনিয়নের সীমানাবর্তী খাগদান নদীর পাশে কেওয়া বুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টিতে নেই কোনো খেলার মাঠ ও ভালো রাস্তা। এমন কি বর্ষা মৌসুম এলেই বিদ্যালয়ের চারপাশে পানিতে থৈ থৈ করে। ভালো সড়ক পথের ব্যবস্থা না থাকার কারণে বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, সাঁকো দিয়ে যেতে গেলে অনেক সময় হাত থেকে বই, খাতা ও কলম পড়ে যায়। অনেক সময় সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করার সময় হাত-পা কাঁপে। তারা আরও জানায়, সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

২০ নম্বর পূর্ব কেওয়া বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম জানান, স্কুলটি উপজেলার দুটি ইউনিয়নের সীমানায়। এলাকাটি অত্যন্ত অবহেলিত জনপদ। এখানে চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাচ্চারা স্কুলে আসতে গেলে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ঘটনার শিকার হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান সড়ক থেকে স্কুলের সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই আসছেন।

স্কুল সংলগ্ন স্থানীয় দোকানদার ফজলুল করিম জানান, এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সনাতন ধর্মের (হিন্দু ধর্মের) আর এই সনাতন ধর্মের কোমলমতি শিশুরা আঠারো গাছিয়া ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন এই সাঁকো পারাপার হয়ে বিদ্যালয় আসে। আমি এই দৈনিক অধিকারের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

অভিভাবকদের মধ্যে থেকে শৈলন চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের মহল্লার কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। আর ওই বিদ্যালয়ে যেতেই প্রতিদিন শিশুদের বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। বাচ্চাদের জন্য খুব চিন্তা হয় কখন কী হয়ে যায়। ভবিষ্যৎ চিন্তা করে একটি ব্রিজ খুবই দরকার।

জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এই ব্রিজের ব্যাপারে জেলা পরিষদে আমি কথা বলেছি, আশা করি নিশ্চয়ই ভালো কিছু করতে পারবো শিক্ষার্থীদের জন্য।

উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি এই স্কুলের ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই জানি। এখানে একটা ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত এর একটা সমাধান করব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড