সিরাজদিখান প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত ৪ জুলাই ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই দিন (বৃহস্পতিবার) বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদ আহমেদ, আবু জর গিফারী ও ফারজানা আক্তারদের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য দায়িত্ব দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। কিন্তু ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্তের ফল যেন ঘোলা পানি! এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
এ দিকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সমাধান বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নাম উঠে আসবে কি না তা নিয়ে নানা প্রশ্নে দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
খাসমহল বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়েছে। আমরা সময় সুযোগ করে স্কুলে মিটিং ডেকে রেজ্যুলেশন তৈরি করে রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সিরাজদিখান উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, ‘আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ না পেলে আমরা ব্যবস্থাই বা নেই কী করে। পত্রিকার সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গেল ৩ জুলাই বুধবার খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় ১২ জন পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে লিখে আনা লুজ সিটসহ ধরা পড়ায় ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আনা হয় ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড