• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান

  রাজশাহী প্রতিনিধি

১৬ জুলাই ২০১৯, ২০:২৬
স্কুল
নির্মাণের ৭০ বছর পেরিয়ে গেছে স্কুলটির পুরাতন ভবনের (ছবি- দৈনিক অধিকার)

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সদরের একমাত্র সরকারি স্কুলটির নাম ‘দুর্গাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’। স্কুলটি ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও স্কুলটির পুরাতন ভবনটি সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অভিযোগ ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো স্কুল ভবনটির নতুন ভবন ছাড়া অন্য সবগুলো ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। লোহার জানালা ও কাঠের দরজাগুলোর জীর্ণ দশা। দেয়ালের পলেস্তার উঠে গেছে। চাদে মরিচাযুক্ত রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। প্রায়ই স্কুলের ছাদের পলেস্তারা ধসে পরে ক্লাস রুমে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থী আহত হবার ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভয়ে অনেকেই ওই ভবনে ক্লাস করা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় ভবনের বারান্দার পাকা খুঁটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা ও ইট ক্ষয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে ফাটল গলিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। বর্তমানে স্কুল ভবনটি মেরামতেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেকোন মুহূর্তে ভূমিকম্পে বা মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় ধসে পড়তে পারে ভবনটি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু আরিফ রুবেল বলেন, সরকারি বিদ্যালয়টির প্রধান সমস্যা ক্লাস রুমের। যে ভবনটি আছে তাও ঝুঁকিপর্ণ। যে কোনো সময় দুঘটনা ঘটতে পারে। এসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার মান উন্নয়নে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চরম আতষ্কের মধ্যে বাধ্য হয়ে পাঠদান করিয়ে আসছেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। শিক্ষার্থীর তুলনায় বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমের সংকট রয়েছে। এরমধ্যে আবার যে ভবনটিতে ক্লাস করা হয় তার অবস্থা খুবই খারাপ। যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে।

উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন। এ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করতে হবে তা না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ৭০ বছরের পুরনো ভবনের কোন কিছুর ট্রেম্পার (গুনাগুন) ঠিক নেই। ভবনটি অবশ্যই ঝুঁকিপূন রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, পড়াশোনার মানোন্নয়ন ও ফলাফলের দিক থেকে প্রতি বছরই দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর তুলনায় কক্ষ সংকট রয়েছে এটা সত্য। পুরাতন ভঙ্গাচোরা জরাজীর্ণ ভবনটিতে শিক্ষক শিক্ষিকারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির পুরাতন জরাজীর্ন ভবনটি দ্রুত ভেঙ্গে ফেলে একটি নতুন ভবন নির্মান করা হলে বিদ্যালটিতে আরো বেশী শিক্ষা মানোন্নয়ন ঘটবে বলে আমি মনেকরি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন সরকার বলেন, সরজমিনে ভবনটি দেখেছি। ভবনটিতে শিক্ষর্থীরা ঝুঁকিপূর্ন ভাবে ক্লাস করছে। দ্রুত ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা কারা প্রয়োজন। এমনকি এমন ঝুঁকিপূর্ন ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা যাবে না। অন্য জায়গায় পাঠদান করাতে হবে। এমনকি নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হবে।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড