দুর্গাপুর প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
বেরিবাঁধ না থাকায় ভাঙন আতংকে দিন পার করছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ-ডাকুমারা এলাকায় হাজারো বাসিন্দা। ইতোমধ্য সোমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেচ্ছে এই এলাকার নানা স্থাপনা। আর নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ ঐহিত্যবাহী শিবগঞ্জ বাজার। এই ভাঙ্গন রোধে দ্রুত এই এলাকায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, জেলার দুর্গাপুরে পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী। শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি না থাকলেও বর্ষায় এ নদী ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্রতি বছরই পাহাড়ী ঢলে নিম্ন এলাকা প্লবিত হয়। ১৯৯১ সালে থেকে এই অঞ্চলে শুরু হয় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা। আর তখন থেকেই নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে এই এলাকার বসতবাড়ি শুরু করে নানা স্থাপনা। এই ভাঙ্গন রোধে ২০১০ সালে ডাকুমারা এক অংশে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ কর হলেও তার প্রয়োজনের থেকে ছিলো অনেক কম।
স্থানী বাসিন্দা মিজান মুন্সী জানায়, সারা বছর শান্ত থাকলেও বর্ষায় সোমেশ্বরী নদীর পাহাড়ী ঢল পদ্মা-মেঘনা মত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তখন পানি চাপে দুপাড়ের তীর ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে। আমার বাড়িসহ কয়েক শতাধিক মানুষের বাড়ীঘর এই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেচ্ছে। দ্রুত আরও ২ কিলোমিটার স্থায়ী বেধিবাধের ব্যবস্থা না করা গেলে সবকিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলার সাচু মিয়া বলেন, এই নদীর তীব্রতার কাছে সব কিছুই তুচ্ছ। ঝুঁকিতে থাকা ২ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এখন এটুএটু করে ভেঙে যাচ্ছে পুরো এলাকা। এবছরও নতুন করে আবারো নদী ভাঙ্গন আতংকে হুমকির মুখে রয়েছে এই এলাকার প্রচীন মসজিদ, মন্দির সহ ঐহিত্যবাহী শিবগঞ্জ বাজার।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার পানি উন্নায়ন বোর্ডে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব্য হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, শিবগঞ্জ-ডাকুমারা এরাকার মসজিদ, মন্দিরসহ সকল স্তাপনা রক্ষায় দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড