মিথ্যা মামলার দায়ে বাদীর সাত বছরের কারাদণ্ড

নরসিংদীতে মিথ্যা মামলা করার দায়ে এক নারীর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই নারীকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ওই নারীর নাম নাসিমা বেগম (৫০)। তিনি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার চর আমলাব এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. জুয়েল রানা এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম বলেন, কোনো অসৎ লোকের পরামর্শে হয়তো মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন নাসিমা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত নাসিমা বেগমকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর বেলাবো উপজেলার চর আমলাব এলাকার বাবার বাড়িতে চলে আসেন ফিরোজা বেগম নামের ওই নারী। এরপর তার সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা–সংক্রান্ত বিরোধ বাধে চাচাতো বোন নাসিমার। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে নাসিমা ও তার ছোট ভাই অন্তরসহ কয়েকজন ফিরোজাকে মারধর করেন। এতে ফিরোজার বাম চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি মামলা করেন ফিরোজার ভাই কাজল মিয়া। পরে ২০১৫ সালে ওই মামলার রায়ে অন্তরকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে নাসিমাসহ পাঁচ আসামি একই মামলায় ছয়মাস জেলে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

এই মামলায় আপস–মীমাংসা করতে না পারার ক্ষোভে মামলার বাদী কাজল মিয়া ও ফিরোজা বেগমের মেয়ের জামাই রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে বিজ্ঞ আদালত সোমবার এই রায় প্রদান করেন।

ওডি/আইএইচএন