বরিশাল প্রতিনিধি
দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় আটক কাভার্ড ভ্যান চালক জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম এ মামলা করেন।
মামলায় চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৭টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সিগন্যাল অমান্য, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশে আক্রমণসহ ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
আহত সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে। আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ড ভ্যান চালক জলিল মিয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। বেলা সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের গাড়ি বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার সঙ্কেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কাভার্ড ভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ড ভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সঙ্কেত দেন। কাভার্ড ভ্যান চালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে। পরে কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড