পঞ্চগড় প্রতিনিধি
ভারতের পাহাড়ি ঢল আর টানা লাগাতার বর্ষণে মহানন্দা ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ার ফলে পঞ্চগড় সদর, তেতুলিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। মহানন্দা ও করতোয়া নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমারি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ দিকে গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির কারণে ভারতের বড় নদী তিস্তা ক্যানেল হয়ে মহানন্দা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় পানি বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
মহানন্দা,করতোয়া অববাহিকার নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক-সবজিসহ আমন বীজতলা। মূলত চরাঞ্চলগুলোর বাড়ি-ঘরের চারপাশে পানি ওঠায় অনেকটা পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে নদীর তীরের পরিবারগুলো।
রবিবার (১৪ জুলাই) জানা যায়, জেলা শহরের পৌর এলাকার নিমনগর, খালপাড়া, রামেরডাঙ্গা, রাজনগর, তুলারডাঙ্গা, সদর উপজেলার ধাক্কামারা, কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, পঞ্চগড় ইউনিয়ন, তেতুলিয়া উপজেলার শালবাহান, দেবনগর, তীরনইহাট, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে, বোদা উপজেলার পৌরসভা, বেংহারী বনগ্রাম, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, মাড়েয়া ইউনিয়নেও করতোয়া নদীর বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাংলাবান্ধা, তীরনইহাট, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া, দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ ও জামাদার গছ এবং ২ নম্বর তিরনইহাট ইউনিয়নের খয়খাটপাড়া, ইসলামপুর, দরগাসিং ও কাশিবাড়ি এবং ৩ নম্বর তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের গোয়াবাড়ি, ভাদ্রুবাড়ি, রণচন্ডি, বুড়িমুটকী ও সরকারিপাড়া গ্রামের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বামনপাড়া এলাকার আল আমিন জুয়েল বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে আমার ৮ বিঘা জমির চা বাগানে পানি ঢুকেছে। আমার মতো অনেকর চা বাগানে পানি ঢুকেছে। পানি না কমানো গেলে আমাদের এলাকার চা বাগানসহ দুইশ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে। এ দিকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড