সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করেছে জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায়। এতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সরকারি হিসেবে বন্যায় জেলার ৫২টি ইউনিয়নে এক লাখ চার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে পানি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে বেশ কিছু এলাকা। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের কয়েকটি স্থান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে ২৪৮ মেট্রিকটন চাল, নগদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, তিন হাজার ৭৬৫ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও ৫০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং পাঁচ হাজার ২৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড