শাহ্ মুহাম্মদ রুবেল, কক্সবাজার
স্বাধীনতার পর ৪৮ বছর কেটে গেছে, আজও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি টেকনাফের একমাত্র বধ্যভূমির। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেওয়া সেই সব শহীদদের স্মৃতির শেষ চিহ্ন।
সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষ। নির্দয়ভাবে হত্যার পর মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল সেখানে। স্বাধীনতার ১০ বছর পর ১৯৮১ সালে টেকনাফ অলিয়াবাদ বিত্তহীন সমবায় সমিতির উদ্যোগে বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বধ্যভূমিতে পাকা স্তম্ভ চারপাশে পাকা দেয়াল নির্মাণসহ ৩টি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। যা এখনো কালের সা ক্ষী হিসেবে অনেকটা ভঙ্গুর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে অরক্ষিত বধ্যভূমি। সেখানে রয়েছে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটির সংরক্ষণ না করায় নতুন প্রজন্মের কাছে অগোচরেই রয়ে গেছে এ অঞ্চলের শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন বিজয় সিংয়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী টেকনাফ আসা পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় ঐতিহাসিক এই বধ্যভূমিটি আবিষ্কার করেন। এখান থেকেই ২৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ উদ্ধার করে বর্তমান টেকনাফ পৌর কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সমাহিত করা হয়েছিল।
কক্সবাজার জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সেক্রেটারি কমরেড গিয়াস উদ্দীন জানান, টেকনাফের শহীদ কবরস্থানটি ইতোমধ্যে জেলার একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছেন। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে এটি রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করা হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড