অনোয়ারা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
গত সাত দিনের টানা বৃষ্টি এবং সাঙ্গু নদ ও বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানির প্রভাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপকূলীয় ও নিম্নাঞ্চলের সড়কসহ অর্ধশতাধিক গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া, ঘাটকুল, পূর্ব গহিরা, সরেঙ্গা, রায়পুর, চুন্নাপাড়া, জুইদন্ডী ইউনিয়নের পূর্ব জুইদন্ডি, মধ্যম জুঁইদন্ডি, পশ্চিম জুঁইদন্ডি, খুরুইশকুল, বটতলী ইউনিয়নের পূর্ববৈরিয়া,পশ্চিম বৈরিয়া আইর মঙ্গল, বটতলী রুস্তম হাটের আশপাশ এলাকা, বরুমচড়া নলদ্বিয়া, বারখাইন ইউনিয়নের দক্ষিণ তৈলারদ্বীপ, পূর্ব বারখাইন, পরৈকোড়াসহ বৈরাগ বারশত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জলবদ্ধতার কারণে ছাত্তার হাট ও শখাইন মুরালী, কৈখাইন ছামুদরিযা সড়ক, বরুমচড়া বটতী দিঘির পাড় সড়কসহ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৫০টিরও অধিক গ্রামীণ সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যাবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজে ধীর গতির কারণে এলাকার কতিপয় দুর্নীতিবাজ নেতাদের সহায়তায় বাঁধ নির্মাণের কাজে হরিলুটের কারণে আজ রায়পুর পানিতে ডুবে আছে। এছাড়া সাপমারা খালের বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারের লোকজন স্লুইচ গেইট বন্ধ করে দেওযায় এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
বারখাইনের বাসিন্দা মো. সোহেল বলেন, বেড়িবাঁধের কাজ না হওয়ায় সাঙ্গু নদের জোয়ারের পানিতে পুরা এলাকা সয়লাব হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ টন চাল ও ২শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শনি ও রবিবার ক্ষতিগ্রস্তদের এসব বিতরণ করা হয়েছে।
ওডি/এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড