আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত আটক হলেও ঘটনার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও লুণ্ঠিত মালামাল ও টাকা পয়সা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সদর বাজার সংলগ্ন হাজী মঈন উদ্দীন আহম্মেদের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় তেত্রিশ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ঘটনার পরের দিন ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের সদস্য জামিল হোসেন সৈকত লুটকৃত মালামালের তালিকা এবং বাড়ির সি. সি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজসহ আলফাডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একদল মুখোশধারী ডাকাত জানালার গ্রিল ভেঙে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। তারপর ডাকাত দল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ আট লক্ষ টাকা, ৪৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুই হাজার ইউ, এস ডলার, ৭টি মোবাইল সেটসহ প্রায় ৩৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুরের নজরুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা উপজেলার মিঠাপুরের সিরাজ খাঁন, বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ী গ্রামের আনিচ শিকদার ও সূর্যোদিয়া গ্রামের আলমগির শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে বোয়ালমারী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের এনায়েত মোল্যা, ধোপাপাড়া গ্রামের বাশার মোল্যা, শিপপুর গ্রামের মনির মোল্যা ও লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের মো. হাচানসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক হাজী মঈন উদ্দীন আহম্মেদ সাংবাদিকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মালামাল উদ্ধার তো দূরের কথা উল্টো আমার পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবুও আমি কোনো মালামাল ফেরত পেলাম না। তাহলে কী আমি আর মালামাল ফেরত পাব না?’
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবহেলা করা হচ্ছে না। চার আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মূলহোতা এনায়েত ডাকাতসহ অপর চারজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওদের ধরতে পারলে মালামাল উদ্ধার করা সহজ হবে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড