কালিয়াকৈর প্রতিনিধি, গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে পুরনো ঘর ও দোকান ভাঙচুর করেছে বন বিভাগের লোকজন। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে কালিয়াকৈরে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক নারীকে লাঞ্ছিত করে তার দোকান থেকে টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুট করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসের আওতায় চন্দ্রা বিট অফিসের গোয়ালবাথান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার শাহাজুদ্দিনের ছেলে সবদুল মিয়া দীর্ঘদিন বনবিভাগের পাঁচ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছেন। তার বসত ঘরের এক পাশে একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুরনো ওই ঘরের টিন নষ্ট হয়ে ঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। এ কারণে সম্প্রতি ওই ঘরের টিন পরিবর্তন করেন সবদুল মিয়া।
খবর পেয়ে গত ১০-১২ দিন আগে চন্দ্রা বিট অফিসের ৫-৬ জন লোক সেখানে যায়। পরে তারা সবদুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় সবদুল তাদের সাত হাজার টাকা দেয় এবং বাকি টাকা পরে দিবে বলে জানালে তারা চলে যায়।
এরই জেরে টাকা চাওয়ার অজুহাতে সোমবার সকালে চন্দ্রা বিট অফিসের কর্মকর্তা মঞ্জুরুল করিম তার লোকজন নিয়ে সবদুলের ঘরে যান। পরে ওই পুরনো ঘর ও দোকান ভাঙচুর করেন তারা।
এ সময় সবদুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম নিষেধ করতে গেলে তাকে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেয় বনবিভাগের লোকজন। এছাড়া তারা টাকাসহ দোকানের ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়েছে বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও বিক্ষুব্ধ লোকজন কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কিছু দিন আগে ওই এলাকার আলমাছ মিয়া ঘর তৈরির সময় এক কাঠ মিস্ত্রিকে ধরে নিয়ে যায় বনবিভাগের লোকজন। পরে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়ানো হয়। একইভাবে স্থানীয় তুষারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা বন বিভাগের লোকজনকে দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সবদুল মিয়া বলেন, ঘরের টিন নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করেছি। খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তাদের সাত হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা না পেয়ে বন বিভাগের লোকজন এসে ঘর ও দোকান ভাঙচুর করে।
এক পর্যায় আমার স্ত্রী মনোয়ারাকে লাঞ্ছিত করে। এছাড়া ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা তোলে ৪২ হাজার টাকার টিন কিনেছি। বাকি টাকা দোকানের ক্যাশ বাক্সে ছিল। ঘর ও দোকান ভাঙচুরের সময় ওই টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
চন্দ্রা বিট অফিসের বিট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল করিম জানান, বনের জমিতে ঘর উঠালে তা আমরা ভেঙে দিয়েছি। ওই ঘর বাবদ টাকা-পয়সা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে নারীকে লাঞ্ছিত ও ক্যাশ বাক্স লুট করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড