• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জামালপুরে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

  জামালপুর প্রতিনিধি

২৭ জুন ২০১৯, ২০:১৩
গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ
জামালপুর সদর উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

জামালপুর সদর উপজেলার দুইটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব গুচ্ছ গ্রামের কাজ অসমাপ্ত রেখেই তড়িঘড়ি উদ্বোধন করে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘর বিতরণের কাজ শুরু করেছে। মাটির কাজ ও ঘরের মেঝে অসম্পূর্ণ রেখেই বসবাসের অনুপযোগী এসব ঘর-রান্নাঘর, শৌচাগার এবং টিউবওয়েল স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এতে তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার লক্ষীরচর ইউনিয়নের মধ্যেরচরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোজাফফর হোসেন এই গুচ্ছগ্রাম দুইটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের দ্বিতীয় পর্যায়ে জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর ইউনিয়নের মধ্যেরচর গুচ্ছ গ্রামের ৮০টি ঘর নির্মাণ বাবদ এক কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং শরীফপুর ইউনিয়নের চর হামিদপুর গুচ্ছ গ্রামের ৬০টি ঘরসহ রান্না ঘর শৌচাগার নির্মাণ বাবদ ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১১০টি ঘরের কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় এবং বাকি ৩০টি ঘর এখনও নির্মাণ করা হয়নি।

ইতোমধ্যে এই দুইটি গুচ্ছ গ্রামের কাজের নিম্নমান এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপকারভোগী জানান, এসব ঘরে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। ঘরের নিচে, উঠানে মাটি নেই। টিউবওয়েলের সংখ্যা খুবই কম। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এসব কাজ সম্পন্ন না করে দিলে পরিবার নিয়ে এসব ঘরে থাকা যাবে না। এখন নিজেদেরই এসব করতে হবে। এ অবস্থায় এমপি মহোদয় আমাদের ঘরের চাবি দিলেন। মাটির কাজের অনিয়মের বিষয়ে লক্ষীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, অধিকাংশ মাটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কিছু ঘরের ভিটার মাটির কাজ বাকি রয়েছে। এসব মাটির কাজ করা হবে।

অপর দিকে শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম মিয়া জানান, ঘর গুলোর বাকি কাজ দ্রুত করা হবে।

তবে চেয়ারম্যানদ্বয় প্রায় ৪২০ মেট্রিক টন বরাদ্ধকৃত চালের মাটির কাজ এখনও না করা এবং গৃহ নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।

জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গুচ্ছগ্রামগুলো করতে একটু সময় লাগে। ৩০টি ঘরের জন্য জায়গা বরাদ্দ ও মাটির কাজ শেষ না হওয়ায় দেরি হয়েছে। কিছুদিন আগে জায়গা বুঝে পেয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। আর ১১০টি ঘরের যে কাজ অসম্পন্ন রয়েছে তা উপকারভোগীদেরই শ্রমিক হিসেবে যেন কাজ করে মজুরী পেয়ে চলতে পারেন সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, উপকারভোগীদের কথা চিন্তা করে কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধন করে তাদেরকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কাজের গতি বাড়বে।

এ দিকে উপকারভোগী ও সাধারণ মানুষদের প্রত্যাশা ঘরগুলোর দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে বসবাসের উপযোগী করে তুলে দিবে এটাই সকলের চাওয়া।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড