• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গাইবান্ধায় দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে ফুড ব্যাংক

  রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা

২৩ জুন ২০১৯, ১২:৫৪
ফুড ব্যাংক
দুর্যোগকালীন খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছে ফুড ব্যাংক ( ছবি : দৈনিক অধিকার)

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে দারিদ্র্যতা ও দুর্যোগকালীন খাদ্য চাহিদা মেটাতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে ফুড ব্যাংক পদ্ধতি। জেলার দুই উপজেলার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে ফুড ব্যাংক পদ্ধতি বেশ সাড়া ফেলেছে। আশপাশের এলাকাগুলোতে ফুড ব্যাংক পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। দুর্যোগকালীন ও দরিদ্র্যতার কারণে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করলেও, এখন স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে দরিদ্রপীড়িত পরিবারগুলো। গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গলনা, টেংরাকান্দি, দক্ষিণ গোবিন্দি, কাতলামাড়িসহ ১২টি গ্রামের মানুষের দিন কাটে বন্যা, ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুযোর্গের সঙ্গে। ফলে এসব এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে ও দুর্যোগকালীন পরবর্তীতে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাোতে হয় তাদের। পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকে চড়া সুদের টাকা নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তিতে চড়া সুদের নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হারাতে হয় ভিটে মাটি।

স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশন এসব সুবিধা বঞ্চিত লোকদের রি-কল প্রকল্পের সহযোগিতায় তৈরি করে দেয় ফুড ব্যাংক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি পরিবার তাদের প্রতিদিনের খাবারের থেকে একটি নিদিষ্ট পরিমাণ চাল বাড়িতে জমা রাখে। যা প্রতি মাসের শেষে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের তৈরি নিদিষ্ট একটি বারে চাল জমা রাখে এবং মাসের পহেলা সপ্তাহে এই জমানো চাল বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখছে তারা।

বন্যা বা আপদকালীন তারা এসব চাল ও টাকা বিনা সুদে নিজেদের মধ্যে ঋণ হিসেবে নিচ্ছেন এবং পরে আবার সুবিধামত সময়ে তা পরিশোধ করছেন। এতে দুর্যোগকালীন ও দারিদ্র্যতার কারণে কাউকে আর না খেয়ে থাকতে হচ্ছে না। নিতে হচ্ছে না চড়া সুদের টাকা। এক সময়ে না খেয়ে দিন পার করলেও ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে এখন স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে এসব পরিবার।

ফুড ব্যাংক সুবিধাভোগী জরিনা বেগম বলেন, প্রতিদিন বাড়িতে চাল তুলে রাখি, মাস শেষে ফুড ব্যাংকে জমা রাখি। বন্যায় ক্ষতিতে আগে সুদের টাকা নিয়ে পরিবার চালাতে হতো, এ সুদের টাকা পরিশোধ করতে বিক্রি করতে হতো গরু বা জমি। এখন আর সুদের ওপর টাকা নিতে হয় না। এখন তো আমার টাকাই ব্যাংকে রাখছি।

ফুড ব্যাংক স্থাপনে সহযোগিতার কথা জানান এসকেএস ফাউন্ডেশন (কো-অর্ডিনেটর রি-কল-২০২১) কর্মকর্তা মো. বাহারাম খান । তিনি বলেন, দুর্যোগপ্রবণ ও দারিদ্র্যপীড়িত এসব এলাকায় ফুড ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে তাদের খাদ্য সংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং জমানো টাকা তাদের পরিবারের অন্যান্য কাজে আসায়, পরিবারগুলোতে স্বচ্ছতা আসছে। দুর্যোগ ও আপদকালীন যাতে কেউ না খেয়ে থাকে এটাই ফুড ব্যাংকের মূল লক্ষ্য ।

এ দিকে দেশের প্রত্যেকটি দুর্যোগ ও মঙ্গা কবলিত এলাকায় এ পদ্ধতি চালু হলে কমবে দরিদ্রতা এবং বাড়বে স্বচ্ছলতা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ওডি/ এসএএফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড