বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে মাধ্যমিক পাশ করা কিশোরী এক ছাত্রীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে মুস্তাকিন বিল্লাহ (৩২) নামে নৌ পুলিশের এক সদস্যকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) গভীর রাতে রামপাল উপজেলার ভোতপাতিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রাম থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের ধরে পুলিশে দেয়। পরদিন শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ওই মেয়ে নিজে বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় নৌ পুলিশের খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রামপাল থানা পরিদর্শন করেছেন।
এ দিকে, শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহ রামপাল উপজেলার মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলের সন্নাসী নৌ পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের হাফেজ জামিল আহমেদের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে রামপাল থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, অভিযুক্ত মুস্তাকিন বিল্লাহর সঙ্গে প্রায় দুই মাস আগে এসএসসি পাশ করা স্থানীয় এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশ সদস্য মুস্তাকিন মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মেয়েটি ওই পুলিশ সদস্যকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নৌ পুলিশের সদস্য মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দেয়। পরে চেয়ারম্যান তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, দুপুরে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড