কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বিসিএস ক্যাডার এরশাদুল ইসলাম চয়ন হত্যা মামলায় ১৪ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডসহ ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন আসামি হলেন- আবদুল আউয়াল (৪৪), আল আমিন (৪০) ও সুফল মিয়া (৩৬)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজন আসামিরা হলেন- আব্দুল করিম (৫৪), সাফিয়া খাতুন (৪৭), আব্দুল কাদির ফকির (৫৯), সোহেল মিয়া (৩৮), রিপা আক্তার (৪৪), জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা (৫৪) ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রূপ মিয়া (৫৪)।
এছাড়া দণ্ডিত দশজন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত সকলেই হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামের বাসিন্দা।
দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন এবং মা মোমেনা খাতুন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামি আবদুল আউয়াল ও সুফল মিয়া এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি সোহেল মিয়া ছাড়া বাকি সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিহত এরশাদুল ইসলাম চয়ন টান একই উপজেলার সিদলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম রতনের ছেলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্ন করে বিসিএস দিয়ে রেলওয়েতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকুরিতে যোগদানের মাত্র দুই দিন আগে ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলায় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চয়নকে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড