সিরাজদিখান প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষ দুইটি ওয়ার্ডে কেবিন ফাঁকা থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের জায়গা হয় ফ্লোরে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ করেছেন দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি মো. মোস্তফা।
তিনি বলেন, বুধবার (১৯ জুন) আমার স্ত্রী অসুস্থ হলে দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেই। মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি বেশ কয়েকটি সিট খালি রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করাব বললে তিনি বলেন, সিট ফাঁকা নেই। ফ্লোরে থাকলে থাকতে পারেন? উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামানকে হাসপাতালে খুঁজে না পেয়ে তাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ফ্লোরে থাকলে থাকনে না থাকলে চলে যান! পরে সিট না পেয়ে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করাতে না পেরে হোসনে আরা ক্লিনিকে এনে ভর্তি করি।
এছাড়া বেশ কয়েকজন রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করেন বলেন, হাসপাতালে অনেক সময় সিট খালী থাকার পরও নার্স বা ডাক্তাররা ফ্লোরে রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সিট খালি থাকার পরও কেন রোগীর সিটে জায়গা হয় না আদৌ আমাদের জানা নেই। নাকি তারা অর্থের বিনিময়ে সিট দিয়ে থাকেন কোনটা?
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আমি হাসপাতালে আসতেছি ব্যাপারটা নিয়ে পরে কথা বলব। তোমার যদি খুব জানার ইচ্ছে হয় আমার ওখানে ই.এম.ও আছে তার সঙ্গে কথা বলো। তিনি যে সিট পায়নি সেটা একটা মিস ইনফরমেশন। সিট ছিল নিচে থেকে ওরা জানেনা যে সিট আছে কি নাই। আমি তাকে বলছি যে আপনি ভর্তি হন। পরে আমি ডিউটিরত কর্মকর্তাদের বললাম ভুল ইনফরমেশনটা রোগীকে কেন দিলা। ই.এম.ওর সঙ্গে আমি কথা বলেছি রোগীটা প্রকৃতপক্ষে ভর্তি যোগ্য ছিল না। আমরা ট্রিটমেন্ট দিয়ে বলছি আপনারা চলে যান। পরে সমস্যা হলে জানাবেন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড