রোগী দেখে ঘরে ফিরে পেলেন মেয়ের রক্তাক্ত লাশ

চুয়াডাঙ্গায় হাতের শিরা কাটা অবস্থায় এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই কলেজ ছাত্রীর নাম ঝুমা খাতুন (১৯)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পুলিশ বলছে গোটা ঘটনাটি রহস্যবৃত মনে হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। বাড়িতে থাকেন স্ত্রী জুলেখা খাতুন ও মেয়ে ঝুমা খাতুন। বৃহস্পতিবার দুুপুরে জুলেখা বেগম হাসপাতালে যান নিকটাত্মীয় এক রোগীকে দেখতে। সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সদর থানা পুলিশের একটি দল। এরপর নিহত কলেজ ছাত্রীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ শেষে পাঠানো হয় সদর হাসপাতাল মর্গে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়িতে মেয়েকে একা রেখেই মা জুলেখা খাতুন হাসপাতালে গিয়েছিলেন নিকটাত্মীয় এক রোগীকে দেখতে। সে সময় বাড়িতে একাই ছিল ঝুমা খাতুন। গোটা ঘটনাটি আমাদের কাছে অন্ধকার মনে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক ইকরামুল হক জানান, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাম হাতের শিরা কাটা রয়েছে। গলাতেও দাগ রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, কলেজ ছাত্রী ঝুমার মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। সে নিজে হাত কেটে আত্মহত্যা করেছে না অন্য ঘটনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট হাতে পেলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।

ওডি/এসজেএ