আহমেদ ইউসুফ
কোটবাড়ি থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আসার একমাত্র সড়কের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘদিনের অযত্ন, অবহেলা এবং সঠিক সময়ে সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়কটি। রাস্তায় থাকা বিভিন্ন খানাখন্দে পড়ে সিএনজি, অটোরিকশা উল্টিয়ে দুর্ঘটনা ও ঘটেছে কয়েকবার।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত সাত মাস আগে এই সড়কে ইট ও বালুর মিশ্রণ দিয়ে রোলারে সমান করা হয়। এরপর আর সড়কে কোনো ধরনের কংক্রিট ও পিচ কিংবা ঢালাই দেওয়া হয়নি। বৃষ্টির পানি জমে ও যানবাহনের চাপে সড়কটিতে আগের মতো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এখন এই সড়কে হালকা যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। সেই সঙ্গে নিত্য দুর্ঘটনা তো আছেই।
সরেজমিনে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সিসি এন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শালবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পর্যটন স্থানে যাতায়াতের জন্য একমাত্র অবলম্বন এ সড়কটিতে দীর্ঘ সময় সংস্কার বন্ধ থাকায় সম্পূর্ণ সড়ক জুড়ে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থায় থাকলেও যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি স্থানীয় প্রশাসনকে। বেহাল এ রাস্তার কারণে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাহী বাস, বিভিন্ন সিএনজি অটোরিকশাসহ পর্যটক বাহী বিভিন্ন পরিবহন অকেজো হয়ে পড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী এমনকি এই এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ চরমে। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়া জানান, ‘কোটবাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য একটি মাত্র পথ। কিন্তু দীর্ঘ অবহেলা আর উন্নয়ন না করার ফলে রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযুক্ত। কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাপারটির সুরাহা কামনা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অপর আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হাসান জানান, ‘আমরা যারা কোটবাড়ি কিংবা তার আশেপাশের এলাকায় মেস ভাড়া করে থাকি, প্রতিদিন আমাদের এই পথেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোটবাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার এই রাস্তাটির উন্নয়ন দেখি নাই।’
এদিকে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা এ রাস্তাটির বাজেটে শুধুমাত্র কার্পেটিংয়ের বরাদ্দ পেয়েছিলাম, কিন্তু শুধুমাত্র কার্পেটিং করলে রাস্তাটির যথাযথ উন্নয়ন হতো না। এমনকি সেটি বেশিদিন টেকসইও হতো না। তাই আমরা নতুনভাবে সম্পূর্ণ রাস্তার বরাদ্দের জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছি। বরাদ্দ এসেছে, আগামী রবিবার (১৬ জুন) থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ পুনরায় শুরু হবে, এ ব্যাপারে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর চিঠি যাবে।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড