নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের স্বামী পরিত্যাক্ত নারী সফুরা খাতুন হত্যা মামলার সাক্ষী জালাল উদ্দিনকে আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে আনন্দর ছেলে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার যোগিন্দ্র নগর বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম ও নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত সফুরা খাতুন নামে এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়।
বৃহস্পতিবার সেই সফুরা হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষী জালাল উদ্দিনের হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল। এদিন সকালে জালাল উদ্দিন স্বাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে যোগিন্দ্র নগর বাজারের কাছে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা জালাল উদ্দিনের একটি হাত কেটে নেয় এবং অন্য হাতসহ পা কেটে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল উদ্দিন মারা যান। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওডি/ এসএএফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড