মাদ্রাসা ছাত্রের প্রতি এ কেমন নির্মমতা!

তাওহিদ (১০) নাম এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে মাদ্রাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন আব্দুর রশিদ নামে এক শিক্ষক। এমন নির্মম ঘটনায় ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মদিনা নগর এলাকার মারকাযুল কুরআন জামিয়া হোসাইনিয়া কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিক্ষক আব্দুর রশিদকে আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ছাত্র তাওহিদ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের এবাদুল মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ মারকাযুল কুরআন জামিয়া হোসাইনিয়া কাসিমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম।

স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সময়মতো বেতন দিতে না পারায় বুধবার (২৮ মে) রাতে মাদ্রাসার ছাত্র তাওহিদকে বেধড়ক পিটিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক ক্বারী হাবিবুল্লাহ। পরের দিন (২৯ মে) বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসা ঈদের জন্য ছুটি দিয়ে মুহতামিম আব্দুর রশিদ ও অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী হাবিবুল্লাহ মাদ্রাসা থেকে সটকে পড়েন।

এদিকে মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেলেও তাওহিদ বাড়িতে না যাওয়ায় শুক্রবার (৩১ মে) সকালে মাদ্রাসায় খোঁজ নিতে যান তাওহিদের বাবা এবাদুল। এ সময় মাদ্রাসার স্থানীয় ছাত্ররা জানায়, ‘বেতন দিতে না পারায় তাওহিদকে মাদ্রাসায় পিটিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখেছে।’ পরে স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাওহিদকে মাদ্রাসার একটি কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাওহিদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রশিদকে আটক করে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় মাদ্রাসা থেকে ছাত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

ওডি/এসএ