আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ বালু ব্যবসার অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের পূর্ব পাতিলাপাড়া গ্রামে পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত অবাধে হাজার হাজার ঘনফুট বালু বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি সংঘবদ্ধ স্থানীয় চক্র প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ বালু বিক্রি করছে বলে জানা যায়।

বালু বিক্রির কারণে এলাকার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ফলে এলাকার জনগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন তিন থেকে চার লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এসব গ্রামের শতশত একর জমি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাদের ব্যবসায় পাহারা দিচ্ছে একটি দস্যুদল।

বরাইদ এলাকায় ড্রেজার বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি এলাকার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলে কিছুদিন অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ থাকে।

পূর্ব পাতিলাপাড়া গ্রামের বিল্লালের পুকুরের পাশের জমির মালিক জরিনা বেগম ও আলী হোসেন জানান, বিল্লাল মেম্বার অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এলাকার লোকজন অনেক নিষেধ করলেও সে মানেনি।

ড্রেজার মালিক মো. শাহজাহান মিয়া দৈনিক অধিকারের প্রতিবেদকের সঙ্গে বিল্লাল মেম্বারের কথা বলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে বিল্লালের পুকুরের মাটি ক্রয় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিল্লালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাদের ম্যানেজ করে ব্যবসা করছি। দুই একদিনের মধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসহাক আলী বলেন, বিল্লাল মেম্বার প্রথমে জাতীয় পার্টি ও পরে বিএনপিতে যোগদান করেন। আবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন জানান, পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রির সুযোগ নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ওডি/এএসএল