চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনাকালে ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৫

হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকা থেকে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা করার সময় ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (৮ মে) আটক করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে এসআই ইকবাল বাহারসহ ডিবি পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউপি চেয়ারম্যান চেরাগ আলীর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সল মিয়া (২৮), গোহ রোডের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২৪), শান্তিবাগ এলাকার কবির হোসেন খানের ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (২৮), খলিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহিদ হাসান সাকিব (২৫), কালিঘাট রোডের বাসিন্দা শামীম আক্তার হোসেনের ছেলে রায়হান হোসেন আপন (২৪)।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ডিবি পুলিশ জানায়, বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় আটককৃতসহ ছয়জন তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবির একটি দল উল্লিখিত স্থানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছয় চোরাকারবারি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের অপর সহযোগী পালিয়ে গেছে। এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- একটি নেভী ব্লু ১৫০ সিসি আরওয়ান-৫; যার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লাল রঙের এফজেড-এস ১৫০ সিসি; যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং একটি কালো রঙের ১০০ সিসি টিভিএস; যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা।

আটককৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরা দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে বিক্রি করে আসছিল। শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জের দুইটি চক্র যৌথভাবে চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। হবিগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল আটককৃতদের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। একইভাবে মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল হবিগঞ্জের চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়।

ওডি/এএসএল