মোংলা প্রতিনিধি, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় ফণী ধেয়ে আসার আগেই মোংলার বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সন্ধ্যার দিক থেকে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা বাড়ার সাথে সাথে আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যাও বেড়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ৭৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার অসহায় মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এদের জন্য চিড়া, মুড়ি, গুড়, পানি, পাউরুটি, পরটার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খুলনা উপকূল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানবে। তখন পুরো দেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে। আঘাত হানার সময় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসসহ ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পর সচিবালয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় এ কথা জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে, এই সময়টা ক্রিটিক্যাল। এ সময়ে যারা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করেন তারা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসসহ উচ্চগতির বাতাস, দমকা ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হবে। এই সময়ে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে, শেল্টারে থাকতে হবে।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড