মো. অজমানুর রহমান, গোপালগঞ্জ
কাশীয়ানি থেকে গোপালগঞ্জ ফেরার পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিলছড়া বাজারে চোখে পড়ে মানুষের ভিড়। একটু সামনে এগোতেই দেখা যায় পাঞ্জাবি এবং মুজিব কোট পরা এক লোককে ঘিরে কিছু মানুষের জটলা। তার সাথে সেলফি তোলার জন্য কিছু মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
জটলা সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমাদের এলাকার ভাই আরুক মুন্সির চেহারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের চেহারার সাথে অনেক মিল রয়েছে। তাকে কাছে পেলে বঙ্গবন্ধুর কথা খুব বেশি মনে পড়ে। তাই তার সাথে একটু স্মৃতি রাখতেই সেলফি তুলছি।
উৎসুক জনতা আরও বলেন, আমার দোকানের সামনে বঙ্গবন্ধুর চেহারার সঙ্গে তার চেহারার মিল দেখে হতভম্ব হই। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, টিভি এবং বই-পুস্তকে দেখেছি। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে দেখে কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধুর চেহারার সাথে মিল খুঁজে পাই।
তারা আরও বলেন, আমরা জানি আপন দুই ভাই-বোন যমজ হলে তাদের চেহারায় মিল থাকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেহারার সাথে হুবহু মিল রয়েছে এমনই একজন ব্যক্তি গোপালগঞ্জের কাশীয়ানি উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের কামাওল গ্রামের মৃত জহুর মুন্সির ছেলে আরুক মুন্সি। আরুক মুন্সি চার ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। ১৯৬৯ সালের ৫ জুলাই কামারুলে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কামাওল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে রাতইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন তিনি। দারিদ্র্যের কারণে সংসারের হাল ধরতে ১৯৯৩ সালে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানির গাড়ি চালক পদে চাকরি নেন আরুক মুন্সি।
আরুক মুন্সির স্ত্রী সুলতানা পারভিন জানান, আমার স্বামীর কাছে প্রতিনিয়ত লোক আসে তার সঙ্গে দেখা করতে। এতে আমার খুব ভালো লাগে এমনকি আমি যখন তার সঙ্গে বাহিরে যাই লোকে তার সঙ্গে ভিড় জমায় সেলফি তোলে, সঙ্গে আমাকে থাকতে বলে। এগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড