• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নুসরাত হত্যাকাণ্ড : জাবেদ ও পপির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি 

  ফেনী প্রতিনিধি

১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২২:০৫
আসামি
আসামি জাবেদ ও পপি (ফাইল ফটো)

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় উম্মে সুলতানা পপি ও জাবেদ আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে জবানবন্দির জন্য ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি চলেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম জানায়, উম্মে সুলতানা পপিকে গত ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১১ এপ্রিল তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উম্মে সুলতানা পপি ওই মাদ্রাসার অলিম পরীক্ষার্থী এবং নুসরাতের সহপাঠী।

এ মামলার পাঁচ নম্বর আসামি জাবেদ হোসেনকে (১৯) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেনী শহরের রামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র।

নুসরাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৮ জন আসামির মধ্যে ৮ জনসহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. আবদুর রহিম শরিফ ও হাফেজ আবদুল কাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। তাঁরা চারজনই নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগে যারা জবানবন্দি দিয়েছে, তাদের আদালতের দেওয়া তথ্য মতে কারাগার থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার পরামর্শ ও নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেফতার হওয়ার পর এসব আসামি একাধিবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে ফেনী কারাগারে দেখা করেন। অধ্যক্ষের পরামর্শমতই ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় ‘অধ্যক্ষ সাহেব মুক্তি পরিষদের’ সভা হয় মাদ্রাসায়।

একইদিন রাত ১০টার দিকে আবারও সভা হয় মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ কাদেরের কক্ষে। ওই সভায় জাবেদসহ ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই হত্যার মূল পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনামতো ৬ এপ্রিল পরীক্ষার আগে কাদের, নুর উদ্দিন, রানা, আবদুর রহিম শরীফ ও ইমরানসহ কয়েকজন মাদ্রাসার গেইটে পর্যবেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন।

নুসরাতকে সাইক্লোন শেল্টোরের ছাদে ডেকে নেওয়া ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজন অংশ নেয়। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন মেয়ে ছিল। শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, জোবায়ের আহমেদ ও জাবেদ হোসেনসহ তিনজন পুরুষ বোরকা পরা ছিল। মেয়ের মধ্যে উম্মে সুলতানা ওরফে পপি (ছদ্মনাম শম্পা) ও কামরুন্নাহার ওরফে মণি। মাদ্রাসা গেটের বাইরে শিক্ষক আফছার পাহারায় ছিলেন। সাইক্লোন শেল্টারের নীচে পাহারায় ছিলেন মো. শামীম, মহি উদ্দিন শাকিল।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড