কলমাকান্দা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
বোরো ফসলের আবাদ শেষ করে কৃষক যখন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষেতের ধান যখন পেকে আসছে তখনই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। কারণ পাকা ধানে চাল নেই, আছে শুধু চিটা। নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসলের আবাদে এমন ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলায় সবচেয়ে বড় হাওড় গোড়াডোবা, সোনাডুবি, মেদিকান্দাসহ প্রায়ই ১ হাজার হেক্টর বোরো ফসলে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হাওরপাড়ের কৃষকদের অভিযোগ। অজ্ঞাত রোগ সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে প্রতিরোধ ও সচেতনা বিষয়ে এলাকায় কৃষি বিভাগ কোন ধরনের পরামর্শ কিংবা পদক্ষেপ নেয়নি।
বড়খাপন গ্রামের কৃষক দয়াল সামছু জানান, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আছি। আশায় ছিলাম ফসল এলে ঋণমুক্ত হতে পারব।
বড়খাপন ইউপির চেয়ারম্যান একেএম হাদিছুজ্জামান হাদিছ প্রতিনিধিকে বলেন, গেল বছরে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছে হাওড়ের কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে। ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিল ২১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন। তবে কোল্ড ইনজুরির ও নেক ব্লাস্ট রোগের কারণে কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের একাংশে মাঘ মাসের প্রচণ্ড শীতে যখন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রিতে নেমে আসে। তখন যেসব বোরো ফসলের ধান গাছের পেটে থোড় ছিল। ঠান্ডাজনিত আবহাওয়ায় সেগুলোর চালধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় নেক ব্লাস্ট রোগে দেখা দেওয়ায় চালধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আমরা নেক ব্লাস্ট রোগের করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা প্রদান করে যাচ্ছি।
এ বছর কৃষক বন্যা আতঙ্কে বীজ রোপনের সময় হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে ক্ষেতে ধান বীজ রোপন করায় ধান গাছগুলো প্রচণ্ড ঠান্ডার সময় থোড় হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আগে তা বুঝা যায়নি, এখন ফসল পাকার সময় ধরা পড়েছে অধিকাংশ ধানে চাল নেই।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড