আমতলী প্রতিনিধি, বরগুনা
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সুবন্ধি বাঁধ প্রায় ৮০ হাজার মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ বাঁধটি এখন চাওড়া, হলদিয়া ও কুকুয়াবাসীর কাছে অভিশাপ। নয়টি শাখা খাল নিয়ে ৭২ কি.মি জুড়ে বিস্তৃত এ উপজেলার একমাত্র জলপথ সুবন্ধি খাল। সেচ সুবিধা না থাকায় কৃষি উৎপাদনে ও জলাবদ্ধতায় মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষক।
এলাকাবাসী জানান, ২০০৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের দাবি উপেক্ষা করে বাঁধ নির্মাণ করে। পরবর্তীতে পানি নিষ্কাশনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় একটি দুই ব্যান্ডের স্লুইস নির্মাণ করে। কিন্তু ২৫০ মি. প্রশস্ত খালের পানি প্রবাহের জন্য তা উপযুক্ত নয়। অন্যদিকে এলাকার কিছু স্বার্থলোভী প্রভাবশালী ব্যাক্তি স্লুইসগেট আটকে মাছ শিকার করেন।
স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ও সচেতন মহলের মতে, সুবন্ধি বাঁধ শুধু পানি নিষ্কাশন নয় বরং কৃষিখাত উন্নয়নের জন্য এ খালটি উন্মুক্ত রাখা জরুরি। প্রায় ৫০০ জেলের জীবিকা ছাড়াও আউশ ও আমন ধানের ফলন কমে গেছে এক-তৃতীয়াংশ। তরমুজ চাষে সেচ খরচ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক চাষাবাদ থেকে দূরে সরে গেছে। এ বাঁধের কারণে কৃষি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, মৎস্য, পশুপালন, পরিবেশ-জীববৈচিত্র ও জনস্বাস্থ্যে ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ২২০ কোটি টাকা। তাছাড়া জমে থাকা কচুরিপানার পঁচা গন্ধে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। মশার উপদ্রব ও পানিবাহিত রোগ এসব এলাকার নিরীহ মানুষের এখন নিত্য দিনের সঙ্গী।
এ সম্পর্কে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মো. ফোরকান বলেন, আমি এলাকাবাসীর স্বার্থ বিবেচনা করে এই বাঁধের একটি যথার্থ সমাধান করব। প্রয়োজনে তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠকে বসব। আমি চাই না এভাবে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত ও নানা রোগে আক্রান্ত হোক।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড