রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমবাগান গুলোতে হোপার পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাগান মালিক ও আম চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আমগাছে মুকুল আসার পর থেকেই মুকুলের বিভিন্ন অংশের শিরায় ও পাতায় হোপার পোকা আক্রমণ করেছে। ফলে গাছের পাতা ও আমের কুঁড়িগুলো কালো রঙ ধারণ করছে। এর কয়েক দিন পর তা ক্রমে শুকিয়ে ঝরে গাছের নিচে পড়ে যাচ্ছে।
আম চাষি টিপু জানান, গত দুই বছর ধরে হঠাৎ করে আমবাগান গুলোতে এই হোপার পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বাজার থেকে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক ক্রয় করে ব্যবহার করেও এ থেকে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বাগানের একটি আমগাছে আক্রমণ শুরু হলে রাতারাতি এই পোকা অন্য গাছগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত গতিতে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সালাম জানান, গত দুই বছর ধরে আম বাগানে হোপার পোকার আক্রমণের কারণে গাছে মুকুলের পরিমাণ কমে গেছে। প্রতি বছরই সঠিক পরিচর্যা করেও এর প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক সরবরাহ করায় এ থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ডিপোমা কৃষিবিদ তুষার মাহমুদ জানান, এগুলো হচ্ছে হোপার পোকা, এই পোকা রাতা-রাতি আমের মুকুলের রস চুষে খেয়ে ফেলছে যার কারণে রস শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাচ্ছে মুকুল। আলো বাতাস ভালোভাবে চলাচল করতে না পারায় হোপার পোকার বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ পায়। এজন্য পাতার নিচের অংশ ও গাছের গোড়ায় সঠিক মাত্রায় বালাইনাশক স্প্রে করলে এ পোকা থেকে রেহাই পাওয়ার যায়।
এদিকে হোপার পোকার আতঙ্কে আম চাষিরা বেশি মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার করার ফলে উপকারী মৌমাছিরা গাছে থাকতে না পারায় পরাগায়ন হচ্ছে না এতে করে আমের মুকুলের গুঠিও আসচ্ছেনা। এজন্য আম চাষিদের লাভের চেয়ে লোকসানের আশংকাই বেশি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড