কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরায় ফসলের জমিতে দেখা দিয়েছে পানি সঙ্কট। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের শত শত হেক্টর বোরো ফসল।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের বিলের বন্দের ডুবি ও অন্যান্য জলমহাল উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। ইজারাদার আব্দুস সত্তার স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মাঘ মাসে মাছ ধরায় হাজার হাজার হেক্টর বোরো ফসল হুমকির মুখে রয়েছে।
দরগাপাশা গ্রামের কৃষক দিলদার চৌধুরী বলেন, বিলের বন্দের ডুবি ও অন্যান্য জলমহাল মাঘ মাসে মাছ না ধরে ফাল্গুন মাসে ধরলে বোরো জমিতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন সেচ দেওয়া যেত। ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সেচ দেওয়া গেলে বোরো ফসল পানি শূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পেত। ভালো ফসলের আশা করতে পারত কৃষকেরা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেচ দিয়ে মৎস্য আহরণ করছে ইজারাদার।
নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক জিয়া চৌধুরী জানান, সরকারি নিয়ম তোয়াক্কা না করে ইজারাদার বহিরাগত লাঠিয়ান বাহিনী দিয়ে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করার ফলে আমাদের বোরো ফসল হুমকির মুখে।
এ ব্যাপারে সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ইজারাদার আব্দুস সত্তার বলেন, এখন আর কেউ জলমহালের মৎস্য নীতিমালা আইন মানছে না। সবাই জলমহালের তল শুকিয়ে মাছ ধরছে। তাই আমিও তল শুকিয়ে মাছ ধরছি।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকতা সীমা রাণী দাস।
দুটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অভিযোগ উল্লেখ করে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাসুদ আহমদ জানান ঐ সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফি উল্লাহ বলেনন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ইউএনওকে বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড